মেহেরপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু জেলাজুড়ে শোকের ছায়া. তিনদিনের শোক ঘোষণা

0
300

মেহেরপুর প্রতিনিধি:
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের লাশ পৌরসভার পরিবহনে করে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে পৌঁছালে গ্রামে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসী ছয়জনের মৃত্যুর শোকে কাহিলের সাথে ভাবনায় পড়েছে ছয় পরিবারের ভবিষ্যত নিয়ে। কারণ ছয় পরিবারেরই নিহতেরা ছিল উপার্জনক্ষম শ্রমজীবী। নিহতরা সকলেই যুবলীগ কর্মি। এরমধ্যে মিঠু (৩০) ও টুকু (৩২) সহোদর। অন্যরাও তাদের চাচাতো ভাই। এরা হলো জান মোহাম্মদের ছেলে সোহরাব হোসেন (৩৪), হাবেল খার ছেলে আনিসুর রহমান খা (৪০), লালু খার ছেলে তুফান (৩৫) ও ইউনুস খার ছেলে নজরুল (৩৫)। তাদের মৃত্যুতে মেহেরপুর জেলা যুবলীগ তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
নিহত টুকু ও মিঠুর ছোট ভাইয়ের সুন্নতে খাৎনা উপলক্ষে তাদের বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে সেখানে তৈরী করা হয়েছিল মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সকলে যখন সুন্নতে খাৎনা উপলক্ষে আনন্দে মাতোয়ারা। ঠিক তখনই খবর পায় মর্মন্তিক সড়ক দূর্ঘটনার। তিাদের মৃত্যু সংবাদে বাড়ির আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ হয়ে যায়। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গ্রামে ছয়জনের লাশ পৌঁছালে সেই সেই সুন্নতে খাৎনার মঞ্চে ক্ষত-বিক্ষত ছয়টি লাশ রাখা হয় সারিবদ্ধভাবে । এসময় কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
বাদ জুম্মা গ্রামের স্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সোহরাব হোসেনকে পূর্ব পাড়ার গোরস্থানে এবং পাঠানপাড়া গোরস্থানে পাশাপাশি পাঁচজনকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল (৩২), হাসিবুল (৩০), মেছের আলী (২৭), রজব আলী (২৮) ও মনার হোসেন খার অবস্থাও আশংকাজনক।
নিহত মিঠুর ভগ্নিপতি আবুল কালাম জানান নিহতরা সকলেই নিজ নিজ পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। নিহতদের হারানোর শোক হয়তো কাটিয়ে ওঠা যাবে। কিন্তু এখন পরিবারগুলো কিভাবে চলবে সেই দু:চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান রিটন জানান নিহতদের স্মরণে তিনদিনের শোক কমৃসূচি নেয়া হয়েছে।
পাবনার একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা ‘কৌশিক পরিবহন’ নামের বাসে পিকনিক করতে মুজিবনগরে আসে। ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের চকশ্যামনগর নামক স্থানে পৌঁছালে মেহেরপুর থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপন করে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী স্যালো ইঞ্জিনচালিত আলগামনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় আলগামনটি চলন্ত বাসের নিচে পিস্ট হলে চালক টুকু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত ১০জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর তিনজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দু‘জন মারা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here