বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

0
294

জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক আজ কমিটি সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, টিপু সুলতান, মো. ইয়াসিন আলী এবং মেরিনা রহমান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়কাটা ও কর্ণফুলী নদীতে দূষণ, জলবায়ু তহবিল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত আলোচনা হয়।

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একান্ত সচিব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশেষ কোন প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব হয়েছে কিনা এবং বন বিভাগ, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে ( তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর) সম্পূর্ণ নিয়োগের পদ ও পরীক্ষাওয়ারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটির সদস্য টিপু সুলতানকে আহবায়ক করে এবং মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ও মেরিনা রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

গাজীপুরে বন বিভাগের জমি অবৈধ দখলদার প্রভাবশালী শিল্প মালিক ও রিসোর্টের মালিকদের একটি তালিকা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়কাটা রোধ করার জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বৈঠকে জানানো হয় যে, এ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ৩ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। এই ফান্ডের আওতায় বর্তমানে ৩৯৭ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ট্রাস্ট ফান্ডের প্রকল্প কার্যক্রম মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়। সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে দ্বিতীয়বার কয়লাবাহী জাহাজ ডুবির প্রেক্ষিতে অতিসত্বর নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়ে মংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালু করার মাধ্যমে শ্যালা নদীতে নৌচলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here