সামছুল আলম কমল,চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:
“আপনার পৌর কর আপনি ধার্য করে নাগরিক সেবায় অংশ নিন।”-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ১,৮,২১,২৪,৩১,৩২,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬,৩৮,ও ৪১ নং ওয়ার্ডে পঞ্চবার্ষিকী পৌরকর পূনঃ মূল্যায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ কর্মসূচি’র আওতায় ২১ মার্চ ২০১৬ খ্রি. সোমবার,দুপুরে নব নির্মিত বহুতল ভবন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পৌরকর মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে কর মূল্যায়ন কর্মসূচি’র উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর মিলনায়তনে চেম্বার পরিচালক মন্ডলী, কাউন্সিলর ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন স্ব উদ্যোগে কর মূল্যায়নে ফরম পূরণ করে জমা দেয়ার জন্য চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের হাতে ১৯৮৬ এর ২২ ধারা মতে গৃহ ভূমির পঞ্চবার্ষিকী কর পূনঃমূল্যায়ন ফরম তুলে দেন। কর মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার সহ সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ, পরিচালক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, এ কে এম আকতার হোসেন, মাহফুজুল হক শাহ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, মোহাম্মদ হাবিবুল হক, সরওয়ার হাসান জামিল, মোহাম্মদ আরিফ ইফতেখার,কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, এইচ এম সোহেল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, হাজী জয়নাল আবদীন, আবদুল কাদের, মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ মোবরক আলী, মোহাম্মদ জহুরুল আলম জসিম, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ জাবেদ, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মো. শফিউল আলম, আবিদা আজাদ, ফারজানা পারভীন, আঞ্জুমান আরা বেগম, নিলু নাগ, জেসমিনা খানম, ফেরদৌসী আকবর, লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, ট্যাক্স কর্মকর্তা জানে আলম সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কাঁচা ঘর, হত দরিদ্র, মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ পরিবারগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স নীতি কানুনের মধ্যে মূল্যায়ন হয়ে আসছে। সক্ষম নাগরিকগণের পৌরকরের উপরেই নাগরিক সেবা নির্ভর করে। নাগরিক সেবা শতভাগ পেতে হলে নাগরিক দায়িত্বও যথানিয়মে পালন করতে হবে। মেয়র বলেন, সততা, স্বচ্ছতা ও জবাব দিহীতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালনের দায়বদ্ধতা থেকেই নাগরিকদের পৌরকরও স্বচ্ছতার সাথে নির্ধারন ও আদায় করা হবে। পৌরকর ধার্য করা, কমানো বা বাড়ানোর দায়িত্ব সরকারের। সিটি কর্পোরেশন একটাকাও কর বৃদ্ধি করে নাই। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নাগরিকদের উপর কোন ধরনের ভয় ভীতি বা আতংক সৃষ্টি করার কোন সুযোগ নেই। সম্মানীত নগরবাসীদেরকে আস্থায় এনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কর মূল্যায়ন করা হবে।প্রসঙ্গক্রমে সিটি মেয়র বলেন, নির্ধারিত সেবার বাইরেও সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ভুর্তূকী দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে মাসে ৩০ হাজার রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে যা বিরল ইতিহাস। মেয়র নাগরিক সেবায় সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সভার সভাপতি চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে ট্যাক্স নিয়মিত দিতে হবে এবং সেবা প্রাপ্তি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি সিটি মেয়রকে সহযোগিতা দিতে ব্যবসায়ী সমাজ ঐক্যবদ্ধ বলে জানান।