ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম চার ঘণ্টায় সামান্য কিছু বিশৃঙ্খলা ছাড়া ভোটগ্রহণ সন্তোষজনক। নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল ছাড়া সব জায়গায় এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার দাবি করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইউপি নির্বাচনে সব সময় বিশৃঙ্খলা হয়। তবে একটা নির্দিষ্ট বেল্টেই সব সময় ঝামেলা হয়। নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলা থাকেই। তিনি জানান, চার নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে বিভাগ অনুযায়ী নির্বাচন মনিটরিং করছেন। তার দায়িত্ব ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে, কমিশনার শাহ নেওয়াজ দেখছেন বরিশাল অঞ্চল, জাবেদ আলী দেখছেন সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং আবদুল মোবারক দেখছেন রংপুর ও খুলনা অঞ্চল। আবু হাফিজ বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ভালো রয়েছে। এতে ভোট পড়ার হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে কি-না সে শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। কেননা, অনিয়মের জন্য এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দেশের নির্বাচন উপযোগী প্রায় সাড়ে চার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার প্রথম ধাপের ৭৩২ ইউপির মধ্যে ৭১৭টিতে ভোট হচ্ছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এদিকে এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ দিতে ইসিতে এসেছিলেন। দলটির নেতারা নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন। ইসির সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে দেওয়া জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার লিখিত অভিযোগে অন্তত ২০টি ইউপিতে কেন্দ্র দখল, কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া ও জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ জানানো হয়েছে।