প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট উৎসব শুরু হয়েছে। ভোটের আগেই ব্যাপক সহিংসতার কারণে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে শঙ্কা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭১৭ ইউপিতে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষের মধ্যে। নির্বাচনী এলাকায় মাঠে টহলে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও আনসারসহ এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। তাৎক্ষণিক সাজা দিতে সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নির্বাচনী পরিবেশ। প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, প্রচারে বাধা দেওয়াসহ সহিংস ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে শুধু নির্দেশনা পাঠিয়ে দায় সারছে ইসি। ওই সব ঘটনায় কমিশন সচিবালয় থেকে মনিটরিং ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ বলেছেন, আমরা উদ্বেগে আছি। ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। ইসিকে নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আগের তুলনায় এবার ভোটের আগেই সহিংসতা হয়েছে অনেক এলাকায়। এ অবস্থায় ভোটের পরিবেশ নিয়ে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান, প্রথমধাপের ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা অনিয়ম ঠেকাতে সজাগ থাকবে। ভোটের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক আচরণ, দায়িত্বে অবহেলা করলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।