কাল ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি

0
304

কাল বুধবার ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। আজ মঙ্গলবার বিদ্যৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, ওই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির উদ্বোধন করবেন। এ সময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও মোদির পাশে থাকতে পারেন। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ ভারতে রপ্তানির বিষয়টিও হাসিনা-মোদির টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে শুরু হতে পারে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ত্রিপুরা থেকে আমদানি করা প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে প্রায় সাড়ে ছয় টাকা (সাড়ে পাঁচ ভারতীয় রুপি)। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য পিপিএ সই হয়েছে। সইয়ের জন্য প্রস্তুত করা পিপিএ অনুযায়ী, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। তবে যখন যেটুকু বিদ্যুৎ নেওয়া হবে, তখন সেটুকুর দামই দিতে হবে। কোনো ক্যাপাসিটি চার্জ (সর্বনিম্ন পরিমাণ বিদ্যুৎ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা, যা না নিলেও দাম দিতে হয়) থাকবে না। তবে সঞ্চালন চার্জ থাকবে। ত্রিপুরার সঞ্চালন লাইনের জন্য সে দেশের সরকার এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সঞ্চালন লাইনের জন্য বাংলাদেশ সরকার সঞ্চালন ব্যয় নির্বাহ করবে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দামের বিষয়টি মীমাংসিত না হওয়ায় তখন থেকে তা আসেনি। গত ৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি পর্যায়ের এক সভায় দামের বিষয়টির ফয়সালা হয়।
ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার পালাটানায় স্থাপিত ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। এ জন্য পালাটানা থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন করেছে ভারত। আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে। তবে এই বিদ্যুৎ আমদানির জন্য প্রায় ৬ শতাংশ ‘সঞ্চালন লস’ থাকায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৪৭০ মেগাওয়াটের মতো।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারতের বেসরকারি কোনো কোম্পানির কাছ থেকে আরও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল। তাতে পিটিসি জয়প্রকাশ পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে। কোম্পানিটি ভারতের মধ্যপ্রদেশে তাদের জয়পি নাইগ্রি সুপার থারমাল পাওয়ার স্টেশন থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের এই বিদ্যুতের দাম পড়বে প্রতি ইউনিট প্রায় সাড়ে চার টাকা। এর সঙ্গে সঞ্চালন ব্যয় যুক্ত হবে। তবে তাতেও তা পাঁচ টাকার মধ্যেই সীমিত থাকতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here