পাম অয়েল ও চিনির মূল্যবৃদ্ধি

0
336

হঠাৎ করেই বাড়ছে ভোজ্যতেল পাম অয়েলের দাম; এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি নির্ভর এই পণ্যের দাম লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মসুর ডাল ও রসুনের জন্য এখনও বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি লিটার পাম অয়েল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। আর সুপার পাম অয়েল এদিন ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা দরে কিনতে পেরেছিলেন ক্রেতারা। সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্র্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে পাম অয়েলের দাম ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর সুপার পাম অয়েলের দাম ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। পাম অয়েলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, গরম আবহাওয়ায় দেশের বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ভোজ্যতেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী ভুট্টো এ বিষয়ে বলেন, “আবহাওয়া খারাপ থাকায় মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন কম হয়েছে। এ কারণে সেখানেই দাম বেড়েছে। দুই মাস আগে ৫৫০ থেকে ৫৬০ ডলারে প্রতি টন পাম অয়েল কেনা যেত মালয়েশিয়ায়, বর্তমানে সেটি কিনতে হচ্ছে ৭০০ ডলারের বেশি দামে। “এ কারণে সয়াবিনের দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে বাজারে এখনও তার প্রভাব পড়েনি।” এছাড়া গরম আসায় দেশে পাম অয়েলের চাহিদা বেড়েছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, দাম বাড়ার পিছনে এটাও কাজ করেছে বলে তার ধারণা। প্রধানত মালয়েশিয়া থেকেই পাম অয়েল আনা হয়। দেশের বাজারে বৃহস্পতিবার দুই হাজার ৩৫০ টাকা মণে (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) এই তেল বিক্রি হয়েছে। এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে মসুর ডাল ও রসুনের দাম বেশ চড়া। ছোট দানার দেশি মসুর ডাল ১৪৫ থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাস তিনেক আগেও এই ডাল কেজি প্রতি ১৩০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়। বাজারে দেশি রসুন আসতে থাকায় তার দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও আমদানি করা মোটা দানার রসুন কেজি প্রতি ২০০টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। সুপার শপ আগোরায় এই রসুন কেজিতে ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে, আর খোলা বাজারে কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাস দুয়েক আগেও এসব রসুন ১৫০ টাকার কাছাকাছিতে বিক্রি হয়। চিনির দাম আরেক দফা বেড়ে প্রতি কেজি ৫২ টাকায় পৌঁছেছে। গত সপ্তাহেও এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও শুক্রবার তা ৫০ থেকে ৫২ টাকায় কিনতে হয়। বাজারে কিছুটা স্বস্তি এনেছে পেঁয়াজ, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত কমে মানভেদে ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে। কমেছে ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম পাওয়া যাচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। গত সপ্তাহেও কমপক্ষে ৩২ টাকা হালি দরে ডিম কিনতে হয়েছে। কাঁচাবাজারে শাক-সবজির দামে খুব উঠা-নামা না হলেও ঢেড়সের সরাবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাড়তে শুরু করেছে টমোটোর দাম। খুচরা বাজারে ভালো মানের টমোটো কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত সপ্তাহে দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here