শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় লাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তা শুক্রবার সু-প্রতিষ্ঠিত’-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায়ও সহায়ক ভূমিকা পালনে ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিবেশী দু’দেশকে সব দিক থেকে সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু লেন, ‘এজন্যই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতে হবে’।
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর দোয়েল চত্তরস্থ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই-কমিশনের ডেপুটি হাই-কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমিতির সাধারন সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠানের ১ম পর্ব আলোচনা সভা শুরু করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ভারতের সাথে বাংলাদেশ’র বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতির পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী এই দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত করা গেলে উভয় দেশের জনগণভিত্তিক সমঝোতার ভিত্তি ও বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাই-কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।