সাতক্ষীরার তালায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

0
276

 

সাতক্ষীরা : জেলার তালা উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়েছে। বিগত কয়েক বছর উপজেলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে ইরি-বোরো চাষাবাদে কিছুটা বিঘœ ঘটেছে। কপোতাক্ষ নদ ভরাট হওয়ার কারণে গত কয়েক বছর তালা উপজেলার নিচু এলাকায় বিল সমূহে বছরের ৬-৭ মাস কোথাও কোথাও পুরো বছর জলমগ্ন ছিল। এ বছর বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়েছে। আমন চাষ কিছুটা কম হলেও ইরিবোরো চাষাবাদে পুষিয়ে নিতে অনেক আগেভাগে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। অনেক নিচু এলাকায় পানি সেচের মাধ্যমে কৃষক চাষাবাদ করেছে।

উপজেলার বিভিন্ন বিলে ইরিবোরো চাষে সবুজ ফসলের সমারোহ। উপজেলার শতকরা ৮০জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলার প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া তালা সহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় মৎস্য চাষের কারণে পানি সেচের মাধ্যমে দেরিতে চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কৃষক মনোরঞ্জন জানান, গত বছর পানি সেচ করে ৩৫ বিঘা জমিতে ইরি চাষাবাদ করেছিলাম এবছর তার চাইতে বেশি জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়েছে ধান মোটামুটি ভাল। বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী ধান দিয়া গ্রামের গাজী হামিজউদ্দীন জানান, সময়মত সার সরবরাহ ও সেচ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কারণে ধান অনেক ভাল হয়েছে। নিচু এলাকার ধান অনেকটা ভাল। কিন্তু উচু জমির ধান আশানুরূপ নয়। আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে ফলন অনেক ভাল হবে। তালা উপজেলার বড়বিলা গ্রামের মকলেছুর রহমান মিলন জানান, আবহাওয়া ও প্রকৃতির কারণে এবছর আমার ব্লকে গতবারের চেয়ে বর্তমানে ধান ভাল বুঝা যাচ্ছে, পানি সার কিছুটা কম লেগেছে আবহাওয়া যদি বিরূপ প্রভাব বিস্তার না করে তাহলে ধানের বাম্পার ফলন হবে।

অপর দিকে, নগরঘাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহব্বত আলী বলেন, গত বছর পানি সেচের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে ইরি চাষাবাদ করা হয়েছিল। এবার পানি কম থাকার কারণে কৃষকরা বেশি জমিতে ইরি চাষাবাদ করেছে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম জানান, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। রোগবালাই কম ও আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে ফলন অনেক ভাল হবে বলে আশা করছেন তারা। এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশি পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া বিনা-৮, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ধান চাষাবাদ হয়েছে। সার ও সেচ কার্যক্রম সফল থাকার কারণে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here