ছিনতাইয়ের শিকার মিসরীয় বিমানের ক্রু ও চার বিদেশি যাত্রীকে জিম্মি রেখে বাকিদের সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে বোমার বেল্ট পরা এক ছিনতাইকারী। সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার জেনন একটি ফরাসি টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই ছিনতাইকারী এখনো কোনো দাবির কথা কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে রওনা হয়ে কায়রো যাওয়ার পথে ইজিপ্টএয়ারের আভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটটি ছিনতাই হয়।
এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের ওই বিমানে ৮১ জন যাত্রী ছিলেন বলে বিবিসির খবর। তবে রয়টার্স লিখেছে, ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে সেখানে ৬৭ জন ছিলেন। ইজিপ্টএয়ার জানিয়েছে, ছিনতাই হওয়ার পর তাদের ফ্লাইট এমএস ১৮১ কে সাইপ্রাসে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী লারনাকার বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য করা হয়। ওই বিমানের পাইলট ওমর আল-জামালের বরাত দিয়ে মিসরের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে থেকেই একজন উঠে এসে বোমার বেল্ট দেখিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দেয় এবং লারনাকায় নামতে বাধ্য করে।
সেখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পর ছিনতারীকারী ক্রু ও চার বিদেশি যাত্রীকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ইজিপ্টএয়ার এক টুইটে জানায়। এরপর স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে ওই বিমান থেকে যাত্রীদের নেমে একটি বাসে উঠতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে লারনাকা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দিয়ে সাইপ্রাসমুখী সব বিমানকে অন্যদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
তবে ছিনতাইকারীর বেল্টে সত্যিই বিস্ফোরক আছে কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেননি সাইপ্রাসের কর্মকর্তারা। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ছিনতাইকারীকে ইব্রাহিম সামাহ নামের এক ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেছে মিসরীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে আটজন ব্রিটিশ এবং ১০ জন আমেরিকান নাগরিক থাকলেও ঠিক কাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে তা এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।