লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উপশহর মিশকাতা থেকে অপহৃত দুই বাংলাদেশি শ্রমিক আসাদ ও রিপনকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার পর সোমবার রাতে আসাদ টেলিফোনে তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার বাবার নাম আব্বাস আলী। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৫ মার্চ শুক্রবার গভীর রাতে মিশরাতা উপশহরের একটি বাজারের পাশ থেকে আসাদ ও রিপনকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। রিপনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। আসাদ টেলিফোনে তার বাবাকে জানান, গৃহযুদ্ধের অস্থিতিশীলতায় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বহিরাগত শ্রমিকদের প্রায়শই অপহরণ করে এবং কিছু অর্থকড়ি আদায় করে ছেড়ে দেয়। কিছুদিন আগে আরও ৩ বাংলাদেশি, ২ ভারতীয় এবং ৫ শ্রীলঙ্কান শ্রমিককে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। পরে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে স্থানীয় দুই হাজার মুদ্রা করে নিয়ে ছেড়ে দেয়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করলে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। রিপন টেলিফোন আলাপে জানান, তাদের দুই জন ছাড়াও ভারত ও শ্রীলঙ্কার আরও কয়েকজন মিলিয়ে মোট সাত জনকে অপহরণ করে মিশরাতা উপশহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। অপহরণ হওয়ার পর বিষয়টি তাদের রুমমেট শাহীন, তবারুলসহ কর্মপ্রতিষ্ঠান আল-মদিনা লিমিটেড স্থানীয় পুলিশকে জানায়। রিপন আরও জানান, অপহরণের পর তাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা ১০ হাজার লিবীয় মুদ্রা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন পুলিশের তৎপরতার কারণে কারও সঙ্গে তাদের ফোনে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের দু’জনসহ সাত জনকে উদ্ধার করে মিশরাতার ক্যারাং থানায় নিয়ে যায়। তবে, অভিযান টের পেয়ে অপহৃতদের ঘরে বন্দি রেখেই তালা মেরে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে খবর পেয়ে ক্যারায় থানায় গিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে আল-মদিনা কর্তৃপক্ষ। আসাদের মা আলেমা খাতুন সরকারের তৎপরতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উদ্ধার হওয়া আমার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, সে ভাল আছে।