সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তরের ঘটনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ডাকাতি হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলটি বলছে, এটি হ্যাকিং নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ডাকাতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অথরাইজ পারসন বা সুইফট সিস্টেমের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলেই রিজার্ভ চুরির রহস্য উদঘাটন হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার (৮০০ কোটি টাকা) লুণ্ঠন একটি বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন দলটির নির্বাহী সদস্য তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শামা ওবায়েদ। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর পর প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই রিজার্ভ চুরিতে যারা বেনিফিশিয়ার, সেই ফিলিফাইনে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, সিনেটে শুনানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ নীরব। এই নীরবতার কারণ কি? তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।