জ্বালানি তেলের (ফার্নেস ওয়েল) দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বিদ্যুতের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ভর্তুকি ও লোকসান কমিয়ে আয়-ব্যয়ে সমতা আনতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেয়ে গেছি। সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা ফার্নেস ওয়েলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দামটা কত নামবে সেটা এখনও ঠিক করিনি। পরিপত্র জারি হওয়ার জন্য সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ক্যালকুলেশন (হিসাব) হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি আমরা চূড়ান্ত করতে পারব। ফার্নেস ওয়েল ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ, শিল্পকারখানায় ও আমাদের জাহাজেও। আমরা নিশ্চিত যে এটার দাম কমছে, বলেন তিনি। সরকার এখন প্রতিলিটার ফার্নেস ওয়েলে লাভ করছে ৩০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিলিটার ফার্নেস ওয়েলের দাম ৩০ টাকার মতো, সরকার দাম নিচ্ছে ৬০ টাকা। বাকি জ্বালানি তেলের (ডিজেল, পেট্রল) দাম কমানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের যাচাই-বাছাই চলছে। সেগুলোর মূল্য কাঠামো ও বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) অবস্থান দেখছি আমরা। বিপিসির এখনও বেশকিছু দেনা রয়ে গেছে। দাম কমালে ফার্নেস ওয়েলে যে ক’টি সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে সেখানে সরকারের ভর্তুকি কিছুটা কমে আসবে। সেই টাকাটা আমরা বিনিয়োগে দিতে পারব, বললেন প্রতিমন্ত্রী। বিপিসির লোকসান কাটিয়ে উঠতে আরও কত সময় লাগবে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যে তেলের মূল্য আছে তা বজায় থাকলে আগামী তিন বছর লাগবে সম্পূর্ণ লোকসান পোষাতে। ফার্নেস ওয়েলে বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে, তাই এর দাম কমলে বিদ্যুতের দাম কমবে কিনা- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের টার্গেট সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া। যেখানে সরকারে ফার্নেস ওয়েল নেয় সেখানে হয়তো সরকার কমফোর্ট ফিল করবে। এ ক্ষেত্রে সরকার বড় অঙ্গের ভর্তুকি দিত। এ জন্য হয়তো আমাদের কিছু টাকা কম লাগবে। কিন্তু যেভাবে আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়ন হচ্ছে, সরবরাহ হচ্ছে, সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে। অর্থাৎ লোনের পরিমাণও বাড়ছে। সেই দিকে যদি হিসাব করি আমার মনে হয় না স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুতের দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে এ মুহূর্তে, বলেন নসরুল হামিদ। কতদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যত দ্রুত পারি ব্যবস্থা নেব। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেয়ে গেছি।