যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী সারা হোসেন। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ বছর সারা হোসেনসহ বিভিন্ন দেশের ১৪ জন নারীকে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জন কেরি সাহসী নারীদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সারা হোসেনের পরিচিতি তুলে ধরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে সারা হোসেন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের, বিশেষত নারীদের পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে লড়াই করেছেন। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ২০১০ সালে বাংলাদেশে যে আইন গৃহীত হয়েছে, সেটির খসড়া প্রণয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন সারা হোসেন। জন কেরি বলেন, নারীবিরোধী বিভিন্ন ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে জয়ী হয়েছেন সারা হোসেন। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে। জ্ঞান ও প্রবল সাহসের জন্য বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন সারা হোসেন। ২০০৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০টি দেশের ১০০ জন সাহসী নারী এ পুরস্কার পেয়েছেন। শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লৈঙ্গিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সাহসী নারীদের পুরস্কৃত করে থাকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এবার পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন গুয়াতেমালার অ্যাটর্নি জেনারেল থেলমা আলদানা, ইরাকের ইয়াজেদি সম্প্রদায়ের নাগামন ওজাত, রাশিয়ার সাংবাদিক ঝান্নানেমসোভা এবং ইয়েমেনের আইনমন্ত্রী নিহাল নাজ আলী আল-আওলাকি।