রিজার্ভ চুরির ৪৬ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছে কিম ওং

0
292

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে নিজের কাছে থাকা ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিয়েছেন চীনা বংশোদ্ভূত ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী কিম অং। গত বুধবার ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) সচিবালয়ে গিয়ে এ অর্থ জমা দেন অং। এ সময় ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। অর্থ চুরির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কিম অংকে শুরু থেকেই সন্দেহ করে আসছিলেন তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে অং ওই অর্থ (৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার) ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তাঁর ফেরত দেওয়া অর্থ এএমএলসি ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাবে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেবে। তবে ইতিমধ্যে সে অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেছেন, তাঁর সামনেই ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিয়েছে। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার শালিকা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে যায় দুই কোটি ডলার। তবে ইংরেজিতে ‘ফাউন্ডেশন’ বানান ভুল থাকার কারণে ওই অর্থ খুব সহজেই ফেরত পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ফিলিপাইনের ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউস ফিলরেমের মালিক তাঁর মুনাফার এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন। মঙ্গলবার সিনেট কমিটিকে অং বলেছেন, জুয়ার আসর পরিচালনাকারী আরেক চীনা ব্যবসায়ী শুহুয়া গাও দেনা পরিশোধ করতে তাঁকে প্রায় এক কোটি ডলার দিয়েছেন। যদি প্রমাণিত হয় যে এই এক কোটি ডলারও বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অংশ, তাহলে সে অর্থও ফেরত দেবেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে আরো কিছু টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে আশাবাদ করে রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বলেছেন, ‘ফিলিপাইনের সিনেটররাই বলেছেন যে বাংলাদেশ তিন কোটি ৪০ লাখ ডলার ফেরত পাবে। কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। পুরো টাকাই উদ্ধার করতে হবে।’ জুয়ার আসরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধারে সংশয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোতে চলে গেছে বলে টাকা পাব না, তা তো মানব না। সিনেট দারুণ কাজ করছে।’ সিনেটর বলছেন, ‘তিন কোটি ৪০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। আমরা ধাপে ধাপে আগাব।’ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, রিজার্ভ চুরির সঙ্গে প্রধানত যারা জড়িত, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here