আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ভরাডুবির লজ্জা থেকে বাঁচতেই বিএনপি মাঝপথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাইছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের আস্থা রয়েছে সরকারের প্রতি। তার প্রতিফলন নির্বাচনে ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। এই কারণে বিএনপি প্রথম দুই ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে জনগণের রায় পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
হানিফ শনিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ যদি ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চায় তাহলে তো অন্য কারো কিছু বলার থাকে না। তবে বিএনপিকে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে হলে এ ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এখানে প্রতিটি জনগন ও রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে নির্বাচনে অংশগ্রহনের ও বর্জনের। সে হিসেবে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে যে কেউই পারে ।
বিএনপির হঠাৎ করে নির্বাচন বর্জনের কারণ হিসাবে প্রসঙ্গে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনগন তাদের দু:শাসন দেখেছে। একারনেই তাদের কাছ থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল করেছিল, তার জন্য জনগনের উপর খড়গ চালিয়েছিল। জ্বালাও-পোড়াও করেছিল, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। এ কারণে জনগন বিএনপির সাথে নেই।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএম মোজাম্মেল হক, আইন বিষয় সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম ও এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ
সভা শেষে মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের কাছে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং ৭ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন।
এছাড়া মুজিবনগরে ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সাড়ে ১০ টায় মুজিবনগরের আ¤্রকাননে শেখ হাসিনা মঞ্চে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।