মারলন স্যামুয়েলসের অপরাজিত ৮৫ রানের সুবাদে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জয়ের জন্য ১৫৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার জনসন চার্লস ও ক্রিস গেইল যথাক্রমে ১ ও ৪ রানে আউট হলে হারের শংকায় পড়ে যায় ক্যারিবিয়রা। এরপর স্যামুয়েলস মাঠে নেমে সব কিছু সামাল দেন। গত ম্যাচে হিরো লেন্ডনল সিমন্স মাঠে নেমেই শূন্য রানে আউট হলে ক্যারিবিয়রা নিশ্চিত হারের দিকে এগুতে থাকে। তবে স্যামুয়েলস ঠিকই রানের গতি সচল রাখেন। সি,ন্স আউট হওয়ার পর ডোয়াইন ব্রাভো ২৬ রান করে দলকে কিছুটা হলেও জয়ের দিকে নিয়ে যান। এরপর আন্দ্রে রাসেল ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত কার্লোস ব্র্যাথহোয়াইট ১০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ২ বল বাকি থাকতেই দলকে দ্বিতীয়বার শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন উইলি।
এর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করে ইংলিশরা।
ব্যাটিং-এ নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। জেসন রয় শূন্য ও এ্যালেক্স হেইলস ১ রানে ফিরেন। এরপর দলের হাল ধরেন জো রুট। তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। কিন্তু মরগানকে বিদায় জানান রয়কে আউট করা স্যামুয়েল বদ্রি। ৫ রান করে ফিরেন মরগান।
২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পরবর্তীতে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান জশ বাটলার ও রুট। দু’জনই রান তোলায় আক্রমণাত্মক ছিলেন। ধীরে ধীরে জ্বলেও উঠছিলেন তারা। কিন্তু দলীয় ৮৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে আবারো চিন্তায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ২২ বলে ৩৬ রান করে ফিরেন তিনি। জুটিতে যোগ হয় ৪০ বলে ৬১ রান।
বাটলার ফিরে গেলেও ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির মার ছিলো। শেষদিকে উইলির ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ডোয়াইন ব্রাভো ও কালোর্স বার্থওয়েত।