বিশ্বের নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদকে গোপন করে রাখছেন। পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের এমন এক কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁসের পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রাইম অব সেঞ্চুরি’। ‘পানামা পেপারস’ ফাঁস হয়ে পড়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সেলিব্রিটি, প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ তালিকায় রয়েছেন ভারতের বিভিন্ন শ্রেণির ৫ শতাধিক প্রভাবশালী। তার মধ্যে অন্যতম মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, তার পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, কেপি সিং, ইন্ডিয়া বুলসের মালিক সমীর গেহলাউত, মুম্বইয়ের গ্যাংলর্ড হিসেবে খ্যাত প্রয়াত ইকবাল মিরচি, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি। পানামাভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার কাছ থেকে জার্মানির পত্রিকা সুধেউটশে জেইটাং এ-সংক্রান্ত এক কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি হাতে পেয়েছে। কার কাছ থেকে তারা এগুলো পেয়েছে তা প্রকাশ করেনি। তবে বলেছে, এসব নথি খাঁটি। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩৪টি ভারতীয় পাসপোর্ট এবং ৩৬ হাজার নথির ওপর তারা আট মাস তদন্ত চালিয়েছে। পানামা পেপারসে কর ফাঁকি ও সম্পদ গোপনের তালিকায় রয়েছে বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ডিএলএফ স্বত্বাধিকারী কেপি সিং ও তার পরিবারের আরও ৯ সদস্য, অ্যাপোলো টায়ারস, ইন্ডিয়ান বুলস থেকে আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি ও তার বড় ভাই বিনোদ আদানির নাম। দুই রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিশির বাজোরিয়া এবং লোকসত্তা পার্টির দিল্লি ইউনিটের সাবেক প্রধান অনুরাগ কেজরিওয়ালের নাম। ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, অর্থ পাচার করতে, কর ফাঁকি দিতে এবং বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে এই আইনি প্রতিষ্ঠানটি তার মক্কেলদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।