গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা অনুসারে বেলা সাড়ে ১১টায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা মেরে যাত্রী হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়ও আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত। সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থানার বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় (মামলা নম্বর ৫৯) আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা। গত বুধবার এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ পলাতক ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। মামলাটির মোট আসামি ৩৮ জন। এর পর আরও ৩ মামলায় জামিন নিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দেবেন খালেদা জিয়া। অন্য তিন মামলার মধ্যে রয়েছে : যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর ৫৮)। এ মামলায় খালেদাসহ ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক পৃথক আরও দুটি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায়ও জামিন চাইবেন খালেদা জিয়া। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলাটিতে সমন জারি করা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। এ মামলায়ও হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে খালেদা জিয়ার প্রতি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে তিনি আদালত চত্বরে পৌঁছান খালেদা। এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন।