“বিএনপি যত যাই বলুক না কেন, আগামী ২০১৯ সালের আগে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার গজনবী স্টেডিয়াম মাঠে মাসব্যাপী কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসনার অধীনেই বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া একবার বাস মিস করেছেন। এরপর থেকে অহেতুক হরতাল-অবরোধের নামে ৯৩ দিন জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতা করে পুলিশ মেরে, মানুষ হত্যা করে কোনো লাভ হয়নি। খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গেছেন। আজও তিনি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গেছেন। তাই ভবিষ্যতে তিনি আর বাস মিস করবেন না।” তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আমাদের দেশের আইনজীবীরা বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা যেমন অপরাধ, তেমনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নির্দেশ দেওয়াও সমান অপরাধ। খালেদা জিয়া জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে জিডিপি এখন ৭ শতাংশে উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “শিক্ষা, মাতৃ মৃত্যুর হার ও শিশু মৃত্যুর হারসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।” বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কোনো স্বপ্ন অপূর্ণ থাকেনি। ভোলাকে নিয়েও আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। আমি আশা রাখছি সেই স্বপ্নও বাস্তবায়িত হবে। ভোলাকে আমি আমার মনের মতো করে গড়ে তুলবো। এ জেলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ রয়েছে। ভোলার প্রাপ্ত সেই গ্যাস দিয়ে বোরহানউদ্দিনে ২২৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। তার পাশে আরো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভারতের বিখ্যাত একটি কম্পানি এ পাওয়ার প্লান্টের কাজ করবে। এখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহু শিল্পোদ্যোক্তা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন। ভোলায় গড়ে উঠবে বড় বড় শিল্প ও কল-করাখানা। এ জেলায় পোর্ট স্থাপিত হবে। খুব শিগগির ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ করে ভোলার সঙ্গে বরিশালের সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। ভোলার জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল মমিন টুলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানুল হোসেন বিপ্লবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।