আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা অননুমোদিত পেট্রোল পাম্প উচ্ছেদ এবং ভেজাল জ্বালানি বিক্রেতা পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা যেসব অননুমোদিত পেট্রোল পাম্প ভেজাল জ্বালানি বিক্রি করছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ওই সব পেট্রোল পাম্প সরিয়ে নিতে হবে, তা না হলে উচ্ছেদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নসরুল হামিদ বিপু। জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। প্রথম দফায় লিটার প্রতি (পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল) ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) প্রতি ব্যারেলের দাম উঠেছিলো ১২২ ডলার। সেই দাম বাড়ার কথা বলে বাংলাদেশেও ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিলো। ক্রুড অয়েলের দাম কমতে কমতে ৪০ ডলারে নেমে এসেছে। প্রথম দিকে বলা হয়েছিলো, বিপিসি আগে লোকসান দিয়েছে সেগুলো পুষিয়ে নিক। একই সঙ্গে মনিটরিংও চরছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও কমানো হবে। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিলো। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিয়েছে সরকারও। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ফার্নেস অয়েলের দাম লিটার প্রতি ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান দাম প্রতি লিটার পেট্রোল-অকটেনের দাম পড়ছে ৫৫ টাকা। যা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৯৬ ও ৯৮ টাকা।