রাজধানীর গুলশানের চাঞ্চল্যকর শাজনীন হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির করা আপিলের ওপর পরবর্তী শুনানি হবে ১০ মে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ বুধবার আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, নাজমুন আরা সুলতানা, মোহাম্মদ ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মির্জা হোসেইন হায়দার। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আর বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও এসএম আবদুল মবিন। আসামিপক্ষ নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষ করেন। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান। এ ঘটনায় শাজনীনের বাবা গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চার বছর পর ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি পাঁচ আসামি হলেন, গৃহকর্মী শহীদুল ইসলাম (শহীদ), হাসানের সহকারী বাদল এবং গৃহপরিচারিকার দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে ২০০৬ সালের ১০ জুলাই পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শনিরামকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল ওই চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। অপর আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন। প্রায় সাত বছর পর ২৯ মার্চ আসামিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়।