পানামা ভিত্তিক ল ফার্ম মোসাক ফনসেকার অফিস থেকে চীন ও হংকংয়ের এক তৃতীয়াংশ ব্যবসা পরিচালিত হওয়ায় বেইজিং এ ফার্মটির বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে।
বছর ব্যাপী তদন্ত শেষে ল ফার্মটির কয়েক কোটি দলিল ফাঁস করা ইন্টারন্যাশনাল কনসোটিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে)এর মতে, পানামা ভিত্তিক ল ফার্মটি বিশ্বে সক্রিয় যেসব কোম্পানীর পক্ষে কাজ করে তার ২৯ শতাংশ হংকং ও চীনের।
তদন্তে দেখা গেছে চীনের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থা পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির বর্তমান কিংবা সাবেক অন্তত আট সদস্য অফশোর কোম্পানীর কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।
চীনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদার করেন। কিন্তু দুর্নীতি দমনে প্রকাশ্যে সম্পদের বিবরণী দেয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোন সংস্কার পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
আইসিআইজে’র রিপোর্টে বলা হয়, শি’র ঘনিষ্ঠ দুই আত্মীয় যারা পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির বর্তমান সদস্য তারা অফশোর কোম্পানীর সঙ্গে জড়িত।
এছাড়া তদন্তের সঙ্গে জড়িত গার্ডিয়ান বলছে, পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক সদস্য জি কিংলিন, চীনের একসময়ের চতুর্থ র্যাংকের নেতা লী পেং-এর আত্মীয়রাও এ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন।
আইসিআইজে’র রিপোর্টে মুভি স্টার জ্যাকি চান, কোটিপতি কেলি জং ফুলি এবং শপিং মল খ্যাত শেন গুইজনের নামও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে চীনের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসব তথ্য ফাঁসের খবরকে খুব একটা পাত্তাই দিচ্ছে না।
হংকংসহ চীনের আটটি শহরে মোসাক ফনসেকার অফিস রয়েছে যা যে কোন দেশের চেয়ে বেশি। ফনসেকার ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে মোসাক ফনসেকা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা যা করেছে সবই প্রাসঙ্গিক আইন কানুন মেনেই করা হয়েছে।