সফররত সার্ক দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রীগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আজ সকালে প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে সার্ক কৃষিমন্ত্রীদের তৃতীয় বৈঠকের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীদের সাক্ষাৎকালে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, সার্ক কৃষিমন্ত্রীরা কৃষি খাতের পাশাপাশি চলতি বছর ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলে ‘অভিন্ন শত্রু’ হিসাবে উল্লেখ করেন এবং দারিদ্র্য নিরসনে দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এ অঞ্চল থেকে দারিদ্র্য নিরসনে একত্রে কাজ করবো।’
কৃষিখাতে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতি প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী কৃষির উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রায়োগিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে গবেষণাসহ আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনা জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ১২৩ শতাংশ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি ধরে রাখার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ব্যাপক বৃদ্ধি সত্ত্বেও আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।
বৈঠকে শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সার্ক কৃষিমন্ত্রীদের বাংলাদেশে স্বাগত জানান এবং সার্ক কৃষিমন্ত্রীদের এই বৈঠককে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রাধা মোহন সিং, নেপালের কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রী হরিবল প্রসাদ গাজুরেল, ভুটানের কৃষি ও বন মন্ত্রী ইয়াসি দর্জি, পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা মন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান বোসান এবং সার্কের মহাসচিব অর্জুন বাহাদুর থাপা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।