বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
364

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী অর্থ বছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সীমিত বাজেট নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভাল। তাই স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে এ খাতে আরও বেশি বাজেট বরাদ্দ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান। ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুণ : ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ স্লোগানে বৃহষ্পতিবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন পারানিথারান, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধনী জনগোষ্ঠীর জন্য দেশে-বিদেশে অনেক উন্নত হাসপাতাল আছে। কিন্তু গরীবদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতাল আছে। তাই তৃণমূলের গবীর মানুষদের সঠিক ভাবে সেবা দিতে এবং স্বাস্থ্য সেবাকে সম্প্রসারিত করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিদেশের বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে বেশিদূর এগিয়ে নেয়া যাবে না।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর কেউ কেউ নানা অজুহাতে স্বাস্থ্য খাতে অর্থ কমিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে সব কেনাকাটায় পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কোন যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন হলে কমিটির অনুমোদন লাগে। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দাতা সংস্থা গুলো অর্থ কমিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য পৃথক কমিটি আছে। মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে কোনো কাজ হয় না। তারপরও দাতা সংস্থারা নানা অজুহাতে তাদের প্রতিশ্রুত রক্ষা করছে না। অর্থ কাটছাঁট করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাতাদের পরামর্শ নেবে। কিন্তু তাদের সকল শর্ত মেনে নিয়ে কাজ করবে না।
সন্তানদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কম খাওয়াতে পিতা-মাতার প্রতি আহবান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের দেশে একটা ট্রেডিশন হয়ে গেছে ছেলে-মেয়েদের ফাস্টফুড খাওয়াতে হবে। এ সকল ফাস্টফুড খাবার কারণে ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। তাই পিতা-মাতার উচিত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন, ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ এবং কিছু শারীরিক ব্যায়াম ও তামাক সেবন বন্ধ করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here