শুধু কথায় নয়, দুর্নীতিমুক্ত থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতিকে না বলুন, মনে-প্রাণে না বলুন। কোনো দুর্নীতি গোপন থাকবে না, এটা না বলে নৈতিকতায় বলীয়ান হয়ে কাজ করুন। আজ শনিবার বিয়াম মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিয়াম ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন করতে হলে প্রত্যেককে আগে নিজেকে শুদ্ধ করে তারপর কর্মক্ষেত্রকে শুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে ফাইল আটকে থাকার বহুল আলোচিত প্রসঙ্গটি তোলেন ওবায়দুল কাদের। আমি মন্ত্রী, আমি বুঝতে পারি কী কারণে ফাইল আটকে থাকে। প্রয়োজনীয় সময়ের অতিরিক্ত সময় ফাইল আটকে রাখা হয়। বলে দেওয়া হয়, ওই সময় থেকে এই সময়… এত দিন লাগবে। এত দিন থেকে ১০ দিন কমানো যায় না? সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে না আসা এবং অফিস সময়ের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের বিষয়টিও তোলেন মন্ত্রী।
অফিসে আসার আগ্রহ নেই। অফিসে আসলেও বসে বসে আড্ডা দেন। বলেন, আমি সত্যি বলছি কি না? কিসের শুদ্ধাচার কায়েম হবে এই অবস্থায়? এটা তো কমিটমেন্ট না, এটা তো শুদ্ধাচার না। আমি ঠিকমতো কাজ করব না, ফাইল আটকে রাখব, তারপর নীতিকথা বলে তো লাভ নেই, বলেন ওবায়দুল কাদের। প্রশাসনে শুদ্ধাচার আনার আগে রাজনীতিকে শুদ্ধ করার ওপর জোর দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
জাতীয় রাজনীতিতে যদি শুদ্ধাচার প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে প্রশাসনের কোথাও শুদ্ধাচার প্রয়োগ সম্ভব না। রাজনীতিতে আগে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মশালায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৬৫ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।