রাঙ্গামাটিতে আনারসের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে হাসি

0
280

পার্বত্য এ জেলায় বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মৌসুমের আগেই বাজারে আসতে শুরু করছে রসালো ফল আনারস।
এবারে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে আনারস যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। বাজারে আনারসের চড়া দাম থাকায় কৃষকেরা বেজায় খুশি। পার্বত্যাঞ্চল থেকে চাষীরা আনারস এনে শহরের পাইকারী বাজার বনরূপা, সমতাঘাট, রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি, ট্রাকটার্মিনাল ও কলেজগেইট ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারী দরে বিক্রয় করছেন। পাইকারী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে রসালো এ ফল। তবে গ্রীস্মকালীন এ ফল বাজারে আগাম আসায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা নানিয়ারচরের আনারস চাষী সজিব চাকমা জানান, আনারস চাষের উপযুক্ত জায়গা হলো ঢালু জমি ও উর্বর মাটি। তাই একদিকে পাহাড় অন্যদিকে মাটি উর্বর হওয়ায়, এখানে আনারস চাষ সব সময় বাম্পার ফলন হয়। এ এলাকার আনারস স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের আনারসের সুনাম বাংলাদেশের সব জায়গায় আলাদা কদর রয়েছে। কাঠাল, তরমুজের জন্য এ অঞ্চলের আলাদা সুনাম রয়েছে। এখানে ফরমালিন মুক্ত সব ধরণের মৌসুমী রসালো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, চাষীরা দিনে দিনে ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
কাট্টলীর কৃষক অমিত চাকমা বলেন, এবছর আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আনারস ফলন ভাল হয়েছে এবং বাজারেও ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা জানান, এবছর আড়াই হাজার খন্ড পাহাড়ি ঢালু জমিতে বিভিন্ন জাতের ফলের চাষাবাদ হয়েছে। এর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি জানান, বাজারে চাহিদার কথা ভেবে কৃষকেরা আগাম আনারস সরবরাহের জন্য কিছু হরমোন জাতীয় প্রযুক্তি প্রয়োগ করছেন। আশা করা হচ্ছে এবারে কৃষকরা যথাযথ মূল্য পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here