প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, সরকার দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সকল বিধিবিধান মেনে করা হবে। তিনি রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবেশের উপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, কিছু লোক দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে।
বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্পর্কেও মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে ড. এলাহী বলেন, সরকার পরিবেশ বান্ধব আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে রীতিনীতি নিশ্চিতভাবে অনুসরণ করছে এবং এর ফলে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সম্পর্কে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, সরকার সাধারণত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠার জন্য একটি জায়গা নির্বাচনের করে ২-৩ বছর ধরে এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, পরিবেশের প্রভাব মূল্যায়ন এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করার পর কাজ করে থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এলাকার পরিবেশের কোনো হুমকি হবে না।
এছাড়া, তিনি বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করেছে এবং স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে একটি তহবিল গঠন করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বার্ষিক ৩২কোটি টাকা সংগৃহীত হবে, যা থেকে স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলনে যোগদান করেন এবং তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের কাছে যেন সাবলিলভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় সেই লক্ষ্যে সরকার সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
নসরুল বলেন, ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল বিদ্যুৎ উৎপাদন ৮,৩৫৮ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, যা সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তিনি বলেন, দেশে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট এবং ২১৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের একটি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এম রাকিব হোসেন, পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন.