মানুষের কল্যাণে সড়ক পরিবহন আইন করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

0
239

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট দূর করাসহ রাস্তায় সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনস্বার্থে এবং মানুষের কল্যাণে সড়ক পরিবহন আইন করতে হবে। একটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে ৩৩ বছর সময় লাগে তা ভাবতেও অবাক লাগে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সময়োপযোগী আইন না হলে জনগণের সেবা করা যায় না।
তিনি গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৬ খসড়ার উপর দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উদ্যোগে ও বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী এম. শাজাহান খান এমপি, বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ডা, এন, প্রানীথারন , নিরপাদ সড়ক চাই-এর সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাংবাদিক- কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ পরিবহণ সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ, বাস-ট্রাক ওর্নাস এসোসিয়েশনের সভাপতি সোহেল হায়দার ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার উপর ভুল উপস্থাপন করায় বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ডা. এন. প্রানীথারনের কাছে প্রশ্ন করে তার ব্যাখ্যা চেয়ে আরো বলেন, বাংলাদেশে ২১ হাজার মানুষ বছরে নিহত হয় এমন তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য। তাই এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন না করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরো সতর্ক হওয়ার আহবান জানান। দেশে দৈনিক ৫৯ জন মানুষ মারা যান বলে যারা তথ্য সরবরাহ করেছে তাদের সতর্ক হওয়ার জন্যও তিনি আহবান জানান।
মন্ত্রী প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৬-জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করার আহবান জানিয়ে বলেন, আইনে এমন কিছু থাকতে হবে যাতে আইনকে ভয় পায় এবং বাস্তবে তা কার্যকর করা যায়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী এম. শাজাহান খান এমপি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চায় বলেই ৩৩ বছর পর একটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার উদ্যোগে নিয়েছে। ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা চলছে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করে বলেন, এই প্রস্তাবিত আইনের খসড়া আজই চূড়ান্ত করতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিক হওয়ার জন্য আহবান জানান। কর্মশালার ২য় পর্বে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রস্তাবিত খসড়া আইনের বিভিন্ন দিক সংশোধনের পরামর্শ দেয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here