বরিশাল প্রতিনিধি ॥ স্থায়ী আর মাষ্টাররোলের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈশম্যদূরকরাসহ বকেয়া ৫ মাসের বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা। এসময় তারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিৎ কুমারের কক্ষ ঘেরাও করে রাখেন।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে দশটার দিকে অর্ধশতাধিক কর্মচারীরা নগর ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় বিক্ষুব্ধরা মেয়র আহসান হাবিব কামালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শে¬াগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বিসিসি কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের সহযোগীতা চায়। প্রায় এক ঘন্টাপর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়কার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা বর্তমানে ৪ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামালের নিয়োগ দেয়া কর্মচারীরা নয় হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। বিক্ষুব্ধরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা এই বেতন বৈশম্যদূর করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু মেয়র আমাদের কথা কোন তোয়াক্কা করছেননা। বিক্ষুব্ধরা জানান, এছাড়া ৫ মাস ধরে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের পাওনা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বেতন বৈশম্যদূর করা না পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে বিসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার দও বলেন, গত সভার মিটিংয়ে কর্মচারীদের বেতন বৈশম্যদুর করাসহ বকেয়া বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মেয়র ঢাকায় থাকায় কর্মচারীদের বকেয়া বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। খুব শীঘ্রই এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও তিনি উলে¬খ করেন।