শার্শায় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক

0
369

বেনাপোল প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শা উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোরআন শিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফ হোসেন (৪৪)। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ওই ছাত্রীর স্বজনেরা ধর্ষক শিক্ষকের বাড়ি ও মাদ্রাসা ভাঙচুর করেছে। ধর্ষিতা শিক্ষার্থী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে শাররীক পরীক্ষার জন্য যশোর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষক শিক্ষক আলতাফ হোসেন উপজেলার আমলা গ্রামের ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৃত আব্দুল বারিক ঢালীর ছেলে। এলাকার মেয়েরা এ মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা নেয়।
স্থানীয় গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, তিনি ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানতে পারেন, আলতাফ হোসেন ও তার স্ত্রী নিজ বাড়িতে ছোট-ছোট কিছু ঘর তৈরি করে হাফিজিয়াখানা মাদ্রাসা বানিয়ে সেখানে ছাত্রীদের রেখে কোরআন শিক্ষা দেন। গত দুই মাস ধরে কৌশলে আলতাফ হোসেন মেয়েটিকে হাফিজিয়াখানার পাশে রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন। সোমবারও মেয়েটিকে ধর্ষণের পর সে বাধ্য হয়ে অন্য ছাত্রীদের ঘটনাটি জানায়।
এ ঘটনা জানার পর মেয়েটির বাবা ইউনিয়ন পরিষদে এসে বিচার চাইলে ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই তিনি পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ও ওই ছাত্রীর স্বজনেরা গিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়ি ও মাদ্রাসা ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার মেয়েটিকে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here