গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এ আদেশের ফলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বৈধ হলো। পাশাপাশি সিম নিবন্ধন বিষয়ে বেশ কিছু অভিমত দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রিটটি খারিজ করে দেন। গত ১৪ মার্চ হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের ডিজি, মোবাইফোন অপারেটরগুলোসহ ১৩ বিবাদী করা হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এস এম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অনিক আর হক। রবির পক্ষে ছিলেন ফাতেমা আনোয়ার। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সুলতানা। গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনর্নিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনর্নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া।