সিরিয়ায় অল্প কিছু রুশ বিমান রয়েছে তবে যুদ্ধে মস্কোর ভূমিকা এখনও গুরুত্বপূর্ণ

0
341

সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে সরকার নিয়ন্ত্রিত ভূখন্ডের মধ্যে অবস্থিত হিমিম বিমান ঘাঁটির টারমাকে রাশিয়ার প্রায় এক ডজন যুদ্ধবিমান রয়েছে।
তবে পার্শ্ববর্তী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ এর একটি বড় রাডার বিরতিহীনভাবে কাজ করছে।
এক মাস আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সিরিয়া থেকে তার বাহিনীর ‘মূল অংশ’ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুতিনের এ ঘোষণায় পশ্চিমা বিশ্ব বিস্মিত হয়েছিল। এর পাঁচ মাস আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে মস্কো সেখানে বিমান অভিযান শুরু করে।
সরকারি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সাফল্য পাওয়ার পর পুতিন বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় প্রায় নয় হাজার অভিযান চালিয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো সম্পূর্ণভাবে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে।
রাশিয়ার সামরিক মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, এসইউ-৩৪ ও এসইউ-২৫ সহ ২০ টির’র বেশি যুদ্ধবিমান প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এমআই-৮ ও এমআই-২৪ সহ বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারও ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মোট যুদ্ধবিমানের অর্ধেকেরও কম এখন সিরিয়ায় মোতায়েন রয়েছে।
তবে আশিংক এ প্রত্যাহারের অর্থ এই নয় যে মস্কো বাহিনী সিরিয়া যুদ্ধে এখন আর ব্যাপকভাবে অংশ নিচ্ছে না।
সিরিয়ার বিমান উপস্থিতি হ্রাসের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সহায়তায় সরকারি বাহিনী বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এসব এলাকা ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হওয়া অস্ত্রবিরতির মধ্যে পড়ে নি। কারণ অস্ত্রবিরতির শর্তের মধ্যে ছিল জিহাদিরা এর আওতায় পড়বে না।
গত ২৭ মার্চ সিরিয়ার বাহিনী আইএসের হাত থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য পালমিরা এবং ৪ এপ্রিল জিহাদিদের ঘাঁটি আল-কারইয়াতাইন পুনর্দখলের ঘোষণা দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here