বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির প্রায় এক বছর দশ মাস পরে এবার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলার বিচার শুরু হচ্ছে হাইকোর্টে। আট আসামির মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও আসামিদের জেল আপিলের শুনানির জন্য ইতোমধ্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকায়ও এসেছে মামলাটি। মে মাসেই এ মামলার শুনানি শুরু হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি। এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) বলেন, খুব দ্রুত এ মামলার পেপারবুক তৈরি করা হয়েছে। এখন শুনানির জন্য একটি বেঞ্চে রয়েছে। ২০১৪ সালের রায়ের পর আট আসামির মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন এবং জেল আপিলের পেপার বুক প্রস্তুতের পর মামলাটি ৭ এপ্রিলের হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চের ওই দিনের কার্যতালিকায় দেখা যায়, আটজনের ডেথ রেফারেন্স এবং তিনটি জেল আপিল ও সাতটি ফৌজদারি আপিল রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর বলেন, মামলাটি এখন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। আদালতের আদেশ সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের পর মে মাসেই এ মামলার শুনানি শুরু করবো। আশা করছি, মে মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে পারবো। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।