জাপানে পর পর কয়েকবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪, ৬ ও ৫ দশমিক ৭। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুজনের নিহতের সংখ্যা দুজন থাকলেও পরে তা বেড়ে ৯ জনে উন্নীত হয়েছে। আর আঘাতে এ পর্যন্ত মোট ২৫৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আরো ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে ভূমিকম্প আঘাত হানলেও সুনামি সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। এ ছাড়া এ এলাকায় অবস্থিত পারমাণিক চুল্লি থাকলেও এর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জাপান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ঘটনার পর অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩ মিনিটে, সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট এবং ৬টা ১৭ মিনিটে দক্ষিণ জাপানের কিয়োশু দ্বীপের কাছে কুয়ামাটো শহরের কাছের শহর মাশিকিসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানায়, ব্যাপক সংখ্যক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে চাপা পড়ে এবং ভূমিকম্পের পর বাড়িতে আগুন ধরে গেলে প্রাথমিকভাবে দুজন মারা যান। বাকি সাতজন পরে মারা যান। বিবিসি ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, ভূমিকম্পের পর ১৬ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ৩৮ হাজার বাড়িঘরের গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে জাপানের ভানুতু শহরের ১০ কিলোমিটার গভীরে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার, সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিটে কিয়োশু শহরের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৫.৭ এবং রাত ৯টা ৩ মিনিটে কিয়োশু শহরের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৬.৪ মাত্রার আরো একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানায়, ভূমিকম্পের পর মাশিকি শহরের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। জাপান মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সির ভূমিকম্প শাখা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পের পর আগামী সপ্তাহে ভূমিকম্প পরবর্তী হিসেবে আরো কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।