শক্তিশালী ভূমিকম্পে জাপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। এর আগে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনজন নিহতের খবর জানানো হয়। এদিকে ভূমিকম্পের পর দেশটির মাউন্ট আসো আগ্নেয়গিরিতে ছোট আকারের অগ্ন্যুৎপাতের কথা বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এ সময় তিন শ ফুট উপরে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কুমামাতো অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭। যা আগের দিনের সর্বোচ্চ ভূমিকম্পের মাত্রার চেয়ে বেশি। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ৭ কিলোমিটার। এতে প্রাথমিক সুনামি সর্তকতা জারি করা হলেও পরবর্তীতে তা উঠিয়ে নেওয়া হয়। ভূমিকম্পের পর মানুষজন আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। অনেক স্থানে গাছপালা উল্টে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কুমামাতো অঞ্চলে একটি সড়ক মাঝ বরাবর ফেটে গেছে। এদিকে, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর একই এলাকায় ৫ দশমিক ৮ ও ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া মিনামিতে ভূমিধস ও পাথরের নিচে অনেক ঘরবাড়ি চাপা পড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ভূমিকম্পের পর প্রাথমিক কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যাচ্ছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে বৃহস্পতিবার একই এলাকায় ছয়টি পৃথক ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। ওই ভূমিকম্পে শেষ খবর পর্যন্ত ৯ জনের প্রাণহানি ও অন্তত সাত শ মানুষ আহত হন। বিধ্বস্ত হয় অনেক বাড়িঘর। এতে চাপা পড়েন অনেকে।