৮৩ কয়েদিকে ক্ষমা মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের

0
336

মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট তিন কিউ দেশটির নববর্ষে ৮৩ কয়েদিকে মুক্তি দিতে একটি পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তবে রাজবন্দিরা এ ক্ষমার আওতায় পড়বেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুকি গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশের প্রথম বেসামরিক নেতা হিসেবে চলতি বছরের শুরুতে তিন কিউয়ের নাম আলোচনায় আনেন। সু কি’র হাতে এখনও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে জান্তা আমলের প্রণীত সংবিধানের কারণে তিনি নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি।
সু কি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দেশটিতে প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। গত মার্চে দেশটিতে ক্ষমতার ঐতিহাসিক পালাবদল ঘটে। সু কি’র এনএলডি পার্টিতে এমন অনেক নেতা-কর্মী রয়েছেন যারা সেনা শাসন চলাকালে রাজবন্দি ছিলেন।
রোববার সকালে ফেসবুকে পোস্ট করা প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মায়ানমারের নববর্ষে ৮৩ কয়েদি সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পাবে।
এতে বলা হয়, নতুন বছরে জনগণকে খুশি করতে ও প্রশান্তি দিতে এবং জাতীয় সমঝোতাই এ ক্ষমার উদ্দেশ্য।
সু কি চলতি মাসের শুরুতে এক বিবৃতিতে বিবেকের তাড়নায় তার প্রশাসনের অগ্রাধিকার হিসেবে কয়েদিদের মুক্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেন। সু কি নিজেও ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন।
এনএলডি ক্ষমতায় আসার পর কর্তৃপক্ষ প্রায় ২শ’ রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়া নেয়ার কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
নববর্ষ উপলক্ষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট তিন কিউ রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে তার সরকারের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনিও সামরিক শাসনামলে নিয়মিত জেল খেটেছেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর জনগণের উদ্দেশে প্রথমবারের মত দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা রাজবন্দি, রাজনৈতিক কর্মী ও রাজনৈতিক কারণে যেসব শিক্ষার্থী বিচারের মুখোমুখি রয়েছেন তাদের মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here