ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭২, উদ্ধার অব্যাহত

0
279

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের দেশ ইকুয়েডরে নিহতের সংখ্যা লাফ দিয়ে বাড়ছে। ভূমিকম্পে সবশেষ ২৭২ জন নিহতের খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আড়াই হাজার মানুষ। এদিকে, ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়াদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ জীবিত আটকা পড়েছেন কিনা সে বিষয়েও চলছে অভিযান। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযানে কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী ও কয়েকশ মেডিকেল স্টাফ অংশ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ। ঘটনাটিকে এক দশকে ইকুয়েডরের সবচেয়ে ভয়াবহ  বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস। এছাড়া শান্ত ও সংঘবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়া লেখেন, ধ্বংসস্তূপে আটকাপড়াদের উদ্ধার এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। সবকিছু নতুন করে পুনরায় তৈরি করা যাবে, কিন্তু যারা নিহত হয়েছেন তাদের আর ফেরানো যাবে না, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ৫টা ৫৮ মিনিটে) ইকুয়েডরে আঘাত হানা শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮। ইউএসজিএস জানায়, শক্তিশালী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় শহর মুইসিন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং যা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে। এ ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পর আরও দুটি কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পরপরই তৎক্ষণাৎ দেশটির উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে সরকার। তবে ঘণ্টা দুয়েক পর সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, সুনামির আশঙ্কা অনেকখানিই কেটে গেছে। অবশ্য দেশজুড়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশ্বের বড় ভূমিকম্পগুলোর একটি ইকুয়েডরেই হয়েছে। ১৯০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন হয় দেশটিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here