নানা রাজনৈতিক কারণে প্রায় ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। তবে আসছে জুনে দু’দেশের সম্পর্কের শিথিলতা ভাঙতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র। সম্প্রতি নানা কারণে দু’দেশের মধ্যে এক ধরনের শিথিল সম্পর্ক বিরাজ করছে। আর তাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গতি আনতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক জরুরি বলে মনে করছে দু’দেশই। কিন্তু নানা পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে চলতি বছরের জুন মাসে দু’দেশের বরফ গলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফরে গেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্যই জানানো হয়। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকটি আসছে জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। উভয়ই জুন মাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এ বৈঠকের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক সহজ হবে বলে মনে করেন পাকিস্তান। দেশটির সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকে জিইয়ে থাকা নানা ইস্যুর সমাধান হওয়া সম্ভব। দু’দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি বা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে আশা করি জুনের বৈঠকে তা দূর করে নতুন সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’ এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। গত ছয় বছর দু’দেশের রাজনৈতিক যোগাযোগও খুব কম ছিল। ওই বৈঠকের পর ২০১২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি-এইট শীর্ষ সম্মেলনের দাওয়াত দিতে বাংলাদেশে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ওই সফরে অংশ নেন। তবে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মধ্যে একটি সাইড লাইন বৈঠক হয়।