নড়াইলের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

0
263

নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইলের বাঐসোনা ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক এবং পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও দু’জন কনস্টেবল আহত হবার ঘটনায় গ্রেফতার আতংকে এলাকা পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে।আহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ফারুক আহম্মেদ নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাত ৯টায় চরকেকানিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৭ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফোরকান মোল্যা এবং বিদ্রোহী প্রার্থী চুন্নু শেখের সমর্থকদের মধ্যে সোমবার রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে।এসময় দু’প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের কোপে ও ইট-পাটকেলের আঘাতে নড়াগাতি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান, কনষ্টেবল ফারুক আহম্মেদ ও মাহাবুব হোসেন গুরুতর আহত হন। এ সময় পুলিশ ১৭ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিবষর্ণের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৩শ’ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, ডুমুরিয়া থেকে চরডুমুরিয়া যাওয়ার পথে চুন্নুর সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ সমর্থকদের মারধর করা হয়। এ অভিযোগ অস্বীকার করে চুন্নুর সমর্থকেরা বলেন, ফোরকান সমর্থকেরা প্রথমে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এমনকি নির্বাচনী উঠান বৈঠকেও আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক তান্ডব সৃষ্টি করে।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়াদুল হক বলেন,পলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উচ্ছশৃংখল জনতা কনস্টেবল ফারুককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাতœক জখম করে।এছাড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ আরেক পুলিশসদস্য আহত হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here