ইআরএল ইউনিট-২-এর জন্য পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত

0
240

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মঙ্গলবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ইআইএল) সঙ্গে এক নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ফোনে জানান, আমরা ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবং এলপিজি প্লান্ট স্থাপনের করে দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানির উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য একটি সিরিজ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ভারতের পেট্রোলিয়াম ও ন্যাচারাল গ্যাস প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (অপারেশন) মোসলেম উদ্দিন ও ইআইএল’র পরিচালক (মার্কেটিং) উপেন্দ্র মহেশ্বরী।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশে পরিশোধিত তেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন করতে পিএমসি (প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট) নিযুক্ত করেছে।
প্রকল্প অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে জ্বালানি পণ্যের চাহিদা বছরে প্রায় ৬৪ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে বর্তমানে অশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বছরে মাত্র ১৫ লাখ টন।
সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ফলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নের মাধ্যমে অশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণের গিয়ে ক্ষমতা দাঁড়াবে ৩০ লাখ টনে।
ইআরএল ইউনিট-২ বাস্তবায়নের ফলে অশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা প্রতি বছর ৪৫ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে এবং এটি দেশের জ্বালানি পণ্যের চাহিদার সরবরাহে অনেকটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে।
২০১৮ সালের মধ্যে বছরে ৩০ লাখ টন অশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইআরএল ইউনিট-২ স্থাপনে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে পতেঙ্গায় ইআরএল স্থাপন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here