বগুড়া প্রতিনিধিঃ ভাঙতে ভাঙতে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে এখন ধ্বস নেমেছে। নিজেদের গ্রুপিংয়ে অব মুল্যায়িত এক সময়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বিপুল অনুসারীদের নিয়ে সক্রীয় হয়েছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে। দলে গনতন্ত্রের চর্চা না করে অর্থের বিনিময়ে পদ বিক্রী, ত্যাগীদের মুল্যায়ন না করা, নির্যাতিত কর্মীদের পার্শ্বে না দাঁড়ানো, নিজ দল থেকেই একজনের বিপক্ষে আরেক জনকে দাঁড় করানো সহ নানা অভিযোগ জানালেন দল ত্যাগী নেতারা। বিএনপির বর্তমান সিনিয়র নেতাদের জন্য রেখে গেলেন ক্ষোভ আর ঘৃনা। সময়ের শীর্ষ নেতাদের দল ত্যাগ বিএনপির জন্য ক্ষতিকর বলছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক পর্যায়ের কেউ কেউ। দু একজনের দল ত্যাগ বিএনপির উপরে কোন প্রভাব ফেলবেনা বলে জানালেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সদ্য আওযামীলীগে যোগদানকারী আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু মোবাইল ফোনে জানান, গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ৪বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। জনগনের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গনতন্ত্র রক্ষায় কাজ করেছেন। বিপুল সংখ্যক জনগন নিয়ে তিনি রাজ পথে থেকেছেন। বর্তমানে কোন কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। দলের কোথাও তার নাম পর্যন্ত রাখা হয়নি। অথচ সে রাজনীতি ধরে রাখতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন। তার অনুসারীদের দলের কোন পদে রাখা হয়নাই। তাদের মামলা, জেল, দুরাবস্থায় কোন নেতা খবর নিতে আসেনাই। বরং রাজনীতি এবং জনগনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে তার বিরুদ্ধে নানা সরযন্ত্র করছিল বিএনপি নেতারা। দেশ, জনগনের কল্যানে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগে যোগদানকারী বগুড়া পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এক সময়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে সক্রীয় থাকলেও বর্তমানে আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রেজা সহ অনেকে জানান, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছা সেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তৃনমুল কর্মীদের উপরে বড় নেতাদের চাঁদাবাজী, মামলায় জর্জরিত কর্মীদের কোন খবর না রাখা। সুবিধা বাদী এবং তোষামোদকারীদের মুল্যায়ন সহ নানা কারনে তারা দল ত্যাগ করেছেন। শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপিতে এখন ধস নেমেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল বাশার জানান, বিএনপি বৃহৎ সংগঠন। দু একজন দল ত্যাগ করলে দলের কোন ক্ষতিই হবেনা।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী খন্দকার এ ব্যপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম ইদ্রিস আলী সাকিদার জানান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু দল ত্যাগ করায় অবশ্যই দলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারন নেতা কর্মীরা ভীত হয়ে পরেছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলছে।