নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, পাকিস্তান ‘৭১ সালের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করে পাকিস্তান তার বিভৎস চরিত্রটি জাতির সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে। পাকিস্তানী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বিএনপি-জামাত। দেশের সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধপরাধীরা ছিল পাকিস্তানী চর।
মন্ত্রী বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে ঢাকা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইজে) সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক ও সংবর্ধিত ব্যক্তি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের(ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহরুন ইসলাম পিনু।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমি সাংবাদিকদের কোন ছবক বা উপদেশ দিচ্ছিনা। কোন সংবাদটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা এটি ভাল মতো না জেনে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত নয়। পরে যত প্রতিবাদ ছাপা হোক না কেন, তাতে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়, সে ব্যক্তির সমাজে মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত শিবির বাংলাদেশের অস্তিত্ব মেনে নেয়নি। তাই সব সময় পাকিস্তানের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।
নৌ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া একের পর এক যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে। জিয়ার পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়া জামাত-শিবিরকে আঁচলের তলায় আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাবার জন্য বেগম জিয়া যড়যন্ত্র করেছে। পেট্রোল বোমা মারার নির্দেশ দিয়ে বাস ড্রাইভার, হেলপার, ব্যাংক কর্মকর্তা, পুলিশ, মুরগীওয়ালাহ বিভিন্ন লোককে হত্যা করেছে। এ হত্যার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে।