এসডিজি বাস্তবায়নে প্রয়োজন জাতীয় উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

0
363

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম এমপি বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য প্রয়োজন অর্থায়ন, অংশীদারিত্ব এবং বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ। রাষ্ট্রসমূহ এবং সংশ্লিষ্টদের সঠিক উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ ও বিদ্যমান সম্পদের সঞ্চালনের মাধ্যমেই সম্ভব এসডিজির উচ্চাশাসমূহ পূরণ। আর এ লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্্ (বিইউপি) এ অনুষ্ঠিত ‘সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা : প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহ্রিয়ার আলম আরও বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উন্নয়ন সহায়তায় অনুকূল শর্তাদি বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, কৃষি, জ্বালানী ও পরিবহন খাতে উন্নয়ন ও জলবায়ু সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে প্রয়োজন অভিযোজন মূলক ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপি-এর ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. মাহফুজুল হক এবং বিইউপি-এর সোস্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
এদিকে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক চীফ অব স্টাফ জেনারেল নির্মল চন্দর ভিজ আজ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম এমপির সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এদের মধ্যে আর অধিক যোগযোগ, নিয়মিত আলোচনা এবং একসাথে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনায় তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ-ভারত এ দু’দেশের সাধারণ জনগণ ও সিভিল সোসাইটির মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ধরনের সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০১০ প্রতিষ্ঠিত ভারতের নেতৃস্থানীয় এই থিংক ট্যাংকের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস এডমিরাল কে কে নায়ার, লে. জেনারেল আর কে স্বোহনী, সি ডি সাহাই এবং রাজিব সিক্রি।
এছাড়াও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার তারিক এ করিম এবং বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিইট এর গবেষণা পরিচালক ফায়াজ সোবহান উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারেক মো. আরিফুল ইসলামও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here