অবশেষে পোশাক শিল্প মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবি পোশাক শিল্প অধ্যুষিত এলাকা আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত মহাসড়কের ওপর বহুল প্রত্যাশিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং একই সঙ্গে আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত দুই লেন বিশিষ্ট মহাসড়কটিকে দুই পাশে ড্রেন ও ফুটপাতসহ চার লেন মহাসড়কে রূপান্তর করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সেতু ভবনে সেতুসচিবের সঙ্গে বিজিএমইএ নেতাদের বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।বৈঠক সূত্রে ও বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, জিরাবো ও বাইপাইল এলাকার সড়কসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর আশু সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান সেতুভবনে সেতুসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেতুসচিব বিষয়টি বিজিএমইএ সভাপতিকে অবহিত করেন। বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক এ এন এম সাইফুদ্দীন ও সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালেদ। এই সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী এবং পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীকে পোশাকশিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। বিজিএমইএ সভাপতি সেতুসচিবকে বলেন, আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের ওপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও এ সড়ককে চার লেনে রূপান্তর করা হলে এ সড়কটি যানজটমুক্ত ও দুর্ঘটনামুক্ত হওয়ার পাশাপাশি এ এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৩৫০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ও এগুলোতে কর্মরত আট লাখ শ্রমিক বিশেষভাবে উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে উল্লিখিত এলাকার পোশাক কারখানাগুলোর উত্পাদন কার্যক্রমে আরো গতি আসবে।প্রসঙ্গত, এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল আশুলিয়া থেকে বাইপাইল পর্যন্ত দুই লেন বিশিষ্ট মহাসড়কটির ওপরে শুধু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হবে, সড়কটিকে চার লেনে রূপান্তর করা হবে না। এরই পরিপ্র্রেক্ষিতে বিজিএমইএ সভাপতি গত কয়েক মাসে সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে সরকারকে বোঝাতে সমর্থ হন যে কোনো রকম ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই স্বল্প বাজেটে আশুলিয়া ব্রিজ থেকে বাইপাইল পর্যন্ত সড়কটি চার লেন করা সম্ভব। পরবর্তীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে গেলে ওই চার লেনের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল অব্যাহত রেখে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা যাবে। অন্যথায় রাস্তা বন্ধ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ করতে হবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। সেতুসচিবের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটিকে ছয় লেনে রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। সেতুসচিব প্রসঙ্গক্রমে বলেন যে যানযট নিরসনে সরকার আবদুল্লাহপুর থেকে চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে।