আগের নির্বাচনের তুলনায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে গোলযোগ-সংঘর্ষ ও সহিংসতা কম হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় অনিয়মের বিষয়টি প্রত্যাশা করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ দেশের ৬১৪ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণের অর্ধেক সময় পার করে নিজেদের মূল্যায়নের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শেরপুরসহ বেশকিছু এলাকায় অনিয়মের তথ্য কমিশনে এসেছে। তবে দৃশ্যমান গোলযোগ-সহিংসতার ঘটনা আগের নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম। সকাল ৮টার পরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ইসি কার্যালয়ে আসেন। ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাকি চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সচিব নিজ নিজ কার্যালয়ে আসেন। পরে সিইসির কক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার বৈঠকে বসেন। নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ভোট স্থগিত করা হচ্ছে। কমিশন সর্বাঙ্গীন ভালো নির্বাচন চায়। ভোট শেষে বলা যাবে, কেমন ভোট হলো। ঝামেলা কম-বেশি হয়, তুলনাটা এ জন্য শেষে করতে চাই। বৈঠক শেষে নিজ কক্ষে ফিরে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘আমরা নিজেরাই খোঁজখবর রাখছি। আমাদের কাছেও মাঠপর্যায়ের তথ্য আসছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিচ্ছি।’ এবার ছয় ধাপে ইউপিতে ভোট হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২ মার্চ ও ৩১ মার্চ দুই ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। এরপর ২৮ মে পঞ্চম ধাপ ও ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইউপি নির্বাচন।