একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য ও বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করেছে আদালত। আজ সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই নতুন এ দিন ধার্য করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। তিনি আরও বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছে। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে? আসামিদের এ কটূক্তিকর বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় বাদীর ১০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকি বেগম খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন।