বিশ্বের সর্বাধুনিক হিসেবে পরিচিত ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে এনেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন এর নাম দিয়েছে ‘ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার’। এ প্রযুক্তি ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কমাবে ব্যাপকভাবে। বাড়বে ফ্রিজ ও কম্প্রেসারের স্থায়িত্ব। ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার ব্যবহারের ফলে ইউরোপ আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছালো ওয়ালটন। জানা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রধানত ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এ প্রযুক্তি জনপ্রিয়। ওয়ালটন গত বছরের শেষের দিকে গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় ফ্রিজ উৎপাদনে ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে। কয়েক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সফলভাবে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গত জানুয়ারি থেকে নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন ফ্রিজ বাজারজাত শুরু করেছে ওয়ালটন। চলতি এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ব্যাপকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। ইনভার্টার প্রযুক্তির অন্য ব্র্যান্ডের ফ্রিজের দাম অনেক বেশি রাখা হলেও ওয়ালটন বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এ ফ্রিজ বিক্রি করছে। যাতে প্রযুক্তির সুফল সহজেই ভোগ করতে পারে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ওয়ালটন তৈরি করছে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সম্বলিত নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ফ্রিজগুলোতে খাবারের মান অক্ষুণ্ন রেখে তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজ ব্যবহার করা যায়। ‘ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে ছাড়ায় গত কয়েকমাসে আগের চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের। এখন পর্যন্ত ইনভার্টার প্রযুক্তির আটটি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে দেশীয় এ ব্র্যান্ড। বাজারজাত করা এ ফ্রিজগুলো হচ্ছে ৩২৩ লিটার, ৩৪৮, ৩৮৬, ৩৯৬, ৪৩০, ৫১২, ৫২৬ ও ৫৮৫ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এর মধ্যে তিন দরজা বিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজটি ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী জুনের মধ্যে ইনভার্টার প্রযুক্তির আরো সাতটি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে।