বরিশাল প্রতিনিধি ॥ ডিজিটাল বরিশালের অগ্রগতি আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বরিশালবাসী এখন যেকোনো সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন। এ জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে (ইধৎরংধষ, চৎড়নষবস ্ চৎড়ংঢ়বপঃ) ‘বরিশালের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ ও ‘ইধৎরংধষ ঘবংি’ নামে ফেসবুকে দুটি পেইজ খোলা হয়েছে। এ পেইজে জেলাবাসী তাদের নিজস্ব, সামাজিক, নাগরিক সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে এর ব্যাপক সফলতা পেতে শুরু করেছেন বরিশালবাসী।
ডিজিটাল বরিশালের স্বপ্নদ্রষ্টা জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে এ পেইজের মাধ্যমে এক মা তার হারানো সন্তানবে খুঁজে পেয়েছেন। একব্যক্তি তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরেছেন। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের এক রিকশাচালক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর জানতে পেরেছেন তার পরিবার। তিনি আরও জানান, এই পেইজগুলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হলেও সাধারণ নাগরিকরা এটি ব্যবহার করছেন বেশি। এর সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষ। অনেক সময় সাধারণ নাগরিকরা তাদের সমস্যা তুলে ধরছেন, আর অন্যরা তার সমাধান করে ফেলছেন। এই পেইজের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরিশাল বিভাগে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন সার্কেলে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ নাগরিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে (জেলা প্রশাসক) সম্মাননা দিয়েছেন। এছাড়াও আগামী ৩০ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসনের সভায় এ পেইজ নিয়ে বিভিন্ন উপস্থাপন তুলে ধরার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বরিশালের সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্র“পের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা পোস্টকারী ও সমস্যার সমাধানকারীকে প্রতি মাসে জেলা ইনোভেশন সার্কেলের সভায় পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে গ্র“পের সদস্যদের পোস্টে ঈড়সসবহঃ-এ প্রাপ্তব্য অভিমতসমূহ পরীক্ষা করে সেরা পোস্টকারী ও সমাধানকারী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। সূত্রমতে, ইধৎরংধষ, চৎড়নষবস ্ চৎড়ংঢ়বপঃ পেইজটি খোলা হয়েছে ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট। এরপর থেকে এ পেইজের মাধ্যমে ইতোমধ্যে চার শতাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসবের মধ্যে ৩৫০টিরও বেশি সমস্যার সমাধান হয়েছে। বর্তমানে পেইজের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। সর্বশেষ বরিশালের জেলা প্রশাসক পরিচালিত ‘বরিশালের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ ফেসবুক গ্র“পের মাধ্যমে নগরীর খালগুলো দখলমুক্ত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নাগরিক দাবি তোলা হয়। এ দাবির মুখে জেলা প্রশাসক নগরীর মধ্যদিয়ে প্রবাহমান ঐতিহ্যবাহী জেলখাল দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই অংশ হিসেবে গত তিনদিনের ন্যায় বুধবার নগরীর ফরিয়াপট্টি এলাকায় খালের দুই পাশের সীমানা চিহ্নিত করে লাল নিশানা টানিয়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ চলমান রয়েছে।