সামছুল আলম কমল, চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:
রাউজান উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নুর সিন্ডিকেটের উদ্যোগে চান্দগাঁও কালুঘাট কেপিএম গুদাম ময়দানে ২৬ এপ্রিল বন্দর থেকে ইজারাকৃত বালুর ১নং ব্লক উদ্বোধনকল্পে এক মেজবান, দোয়া মাহফিল ও দিনব্যাপী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বালুর মহাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্নভাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বোয়ালখালী চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ আসনের মাননীয় সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, রাউজান উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবু তাহের, জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন মোঃ খালেদ, যুবলীগ নেতা রফিকুল হায়দার রাফি, যুবলীগ নেতা মোঃ জসিমসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ অসংখ্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, কর্ণফুলী নদী বালুর মহাল সন্ত্রাসমুক্ত থাকবে এবং কালুঘাট এলাকায় যে কোন কেউ বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে পারবে। কোন সন্ত্রাসী গ্র“প যদি ব্যবসার বাঁধা প্রদান করে তাহলে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিরোধ করার আহ্বান রইল।
সাবেক মেয়র এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি গ্র“প শত শত কোটি টাকা নদী খননের নামে আত্মসাৎ করেছে। আজকে উল্টা চট্টগ্রাম বন্দরকে টাকা দিয়ে যে নদী খননের কাজ নিয়েছে তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানায়। আমি শুনেছি একটি সন্ত্রাসী গ্র“প আমাকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার কাছ থেকে ডিউ লেটার নিয়ে অস্ত্রের লাইসেন্স বানিয়েছেন এবং সে অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাসী তান্ডব, বালু মহাল দখল, ব্যবসায়ীদেরকে হুমকি ধমকি চাঁদাবাজীসহ অনেক অপকর্ম চালিয়ে আসছে। আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার ইস্যুকৃত ডিউ লেটার প্রত্যাহার করে নেব এবং জেলা প্রশাসককে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য আমি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেব। আমি ঘোষণা করছি আজকে থেকে কর্ণফুলী নদীতে সাধারণ মাঝি মাল্লা এবং ব্যবসায়ীদেরকে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করলে সবাই ঐ সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কাউকে কোন ধরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা চলবে না। যদি কেউ মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দায়ী থাকবে। তাই সাবেক মেয়র মিথ্যা মামলার বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন।
বর্তমান মেয়র আ.জম. নাছির উদ্দিন বলেন, কর্ণফুলীর নদীতে বালুর মহাল ইজারা নিয়ে যারা ব্যবসা করে আসছেন তাদেরকে আমার আহ্বান রইল একে. অপরের উপর হস্তক্ষেপ করবেন না। যদি কেউ কারো উপর অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। তাহলে আমি জেলা প্রশাসককে বলে ইজারা বাতিল করিতে বাধ্য হব। অতীতে যে যেভাবে সন্ত্রাসীমূলক আচরণের মাধ্যমে বালুর ব্যবসা করা হয়েছিল আজকে থেকেই কেউ সন্ত্রাসী তান্ডব চালাতে পারবে না। কালুরঘাট নৌ যাত্রীদের যাতায়াত ঘাটকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে উন্মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা নদীর মহাল নিয়ে কেউ সন্ত্রাসী তান্ডব চালাতে পারবে না। সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন? ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে না। এই কর্ণফুলী নদীর মহাল ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সন্ত্রাস বিরোধী কর্মীরা পাহাড়া দেবে। প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করা হবে। বালুর মহালে শান্তি শৃঙ্খলা কামনা করে এক দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত করা হয়।